শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

চক বাজার ট্রাজেডি বনাম ফেইসবুক পেইজ।

চকবাজার ট্রাজেডি নিঃসন্দেহে একটি শোকের কাহিনী। কিন্তু এই ট্রাজেডি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ফেইসবুক পেইজের অ্যাডমিন গুলো লেইম লেইম যুক্তি উক্তি ছড়াচ্ছে শুধুমাত্র কয়েকটা শেয়ার আর লাইক পাবার জন্যে। তারা শুধুমাত্র পেইজ রিলেটেড ঘটনা গুলোই ছড়াচ্ছা বাকি যারা আহত তাদের খবর নাই বললেই চলে।
ভালোবাসা কিংবা আবেগি পেইজঃ তাদের এখানে শুধুমাত্র আসছে গর্ভবতী মা আর তার স্বামীর ঘটনা। বাংলার সব থেকে প্রকৃত ভালোবাসা। যেখানে আমরা জানি ই না ভিতরে কি হয়েছিলো। বাচার জন্যে ছুটে ছিলো নাকি দরজা খোলার আগেই পুড়ে ছাই হয়েছে। আমরা জানি না। ৭০ জন মারা গেছে তাহলে আগে বুঝুন। বাইরে বের হওয়ার মতো কেউ সময় ই পাইনি। আবেগি পেইজগুলো মাঝে মাঝে দিচ্ছে বাবার বিরিয়ানি আনতে যাওয়ার খবর।
বন্ধুত্বের পেইজ বা গ্রুপঃ এদের টপিক চার বন্ধু। সবাই আড্ডা দেয়। আমিও দেই। তবে এই সময়ে তারা কি ব্যাপারে আড্ডা দিচ্ছে আমার ধারণা নেই। শীতের এতো সকালে এখানে কি করছিলো তারা? আমি জানি না।
ইসলামিক লেইম যুক্তি দেওয়া পেইজঃ টপিক, মসজিদের আরবি লেখা পুড়ে নি। কত দুরত্বে মসজিদ ছিলো জানেন? বাসা বাড়িতে আসবাবপত্র আর অনেক কাপড় থাকে। গ্যাস সিলিন্ডার থাকে। এগুলো মসজিদে থাকার সম্ভাবনা কম। টাইলস করা লেখা কিভাবে পুড়বে জানি না। কাগজে আগুন যে কেউ মাটিতে ফেলে নিভাইছে সেইটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। এতো কাল এতো যায়গায় এতো ধর্মের বই মানুষ পুড়াইলো সেখানে সৃষ্টিকর্তা কোনো প্রমাণ দেয় নি, চক বাজারে সৃষ্টিকর্তা প্রমাণ দিলেন। ধর্ম প্রমাণ দেখে বিশ্বাস নয়, বিশ্বাসেই বিশ্বাস করতে হয়।
সরকার বিরোধী পেইজঃ এরা শুধু খুজবে সরকারের দোষ। ক্যামিকেল ফ্যাক্টরি থাকবে ক্যানো, ফায়ারসার্ভিস আধাঘণ্টা সময় লাগাবে ক্যানো, উদ্ধার করতে সময় লাগবে ক্যানো, ব্লা ব্লা ব্লা। ক্যামিকেল ফ্যাক্টরিটা তো আজকের নয়। এতো কাল কই থাকেন?
সরকারি পেইজঃ এরা শুধু নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ আর কারখানার মালিক কোন দলেই এইটা খুজবে। তারপর তদন্ত। কয়েক লাখ টাকা জরিমানা তার সাথে সেল্ফি। তদন্ত ধামাচাপা। কেস সলভ। বাংলাদেশে একটা জিনিশ দেখলাম। প্রায় সব ট্রাজেডি দ্বিতীয় বার ঘটার সম্ভাবনা আছে। রানা প্লাজা, ড্রেনে পরে শিশুর মৃত্যু সব আবার ঘটার সম্ভাবনা আছে। এগুলো আগে তদন্ত করেন। কয়েকটা মানুষ বাচতে পারে।
৭০ জন মারা গেছে। চিন্তা করেন, ৭০ জন। কয়েকটা ঘটনার অংশ দিয়ে লেইম লেইম যুক্তি উক্তি দেওয়া বন্ধ করুন। আমরা সবাই শোকায়ীত। আমি জানি না ভিতরে কি হয়েছিলো। হয়তো আপনারা ঠিক নয়ত আমি ঠিক। সম্ভাব্য যা হতে পারে তাই বলছি। ঘটনার অংশগুলো দিয়ে শুধুমাত্র শেয়ার লাইক পাবার ইচ্ছে থাকলে বিরত থাকুন। কেউ যদি মনে করেন আমিও লাইক শেয়ার পাবার জন্যে লিখছি "অনুরোধ করছি, কেউ লাইক করবেন না"। আজ শুক্রবার। নিহত আহতদের জন্যে দোয়া করবেন। চক বাজারে আকাশে এখনো রক্ত পোড়ার গন্ধ।
#চকবাজার_ট্রাজেডি
#সৌরভ

বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

হুই উইঘুরের ইতিহাস


৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলামের তৃতীয় খলিফ হজরত ওসমান (রা.) চীনা সম্রাটকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেখানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠান। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবির অন্যতম সদস্য হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। চীনের প্রাচীন তাং বংশীয় নথিপত্রের আলোকে এটা সুস্পষ্ট যে, চীনে ইসলামের আবির্ভাবের সূচনা হয়েছিল সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাসের ওই সফরের মধ্য দিয়ে। ইসলামের প্রতি অনুরাগের নিদর্শনস্বরূপ সম্রাট ইউং ওয়েই চীনে মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন, যা ছিল চীনে প্রতিষ্ঠিত প্রথম মসজিদ। ১৪০০ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও ক্যান্টন শহরের ওই সমৃদ্ধ মসজিদ স্মারক মসজিদ হিসেবে আরও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
গত কয়েক যুগ ধরে নানা কারণে বহির্বিশ্বে চীনের পরিচিতি পেয়েছে মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে। দেশটির মুসলিম নাগরিকদের ওপর চালানো দমন-পীড়নের জন্য বরাবরই চীন সমালোচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত তুর্কিভাষী উইঘুর মুসলিমরা চীনা সরকারের ব্যাপক নির্যাতনের শিকার। তাই মুসলিমবিদ্বেষ পরিচিতি মুছে ফেলতে চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে ৬০০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ইনচুয়ান শহরটিকে ‘বিশ্ব মুসলিম শহরে’ রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার। শহরটি চীনা হুই মুসলিম শাসিত নিংজিয়া প্রদেশের রাজধানী। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে শহরটিতে মসজিদ সদৃশ রাজকীয় ভবন, আরবি অক্ষরে লিখিত পথনির্দেশিকা এবং এক হাজার এক আরব্য রজনির অনুকরণে আলোকসজ্জাসমেত থিম পার্ক নির্মাণ করছে চীন। আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনা-আরব ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে এ থিম পার্কটি তৈরি করছে চীন সরকার।
চীনে দুটি বড় মুসলিম গ্রুপ রয়েছে। একটি হলো জিনজিয়াংয়ে উইঘুর এবং অপরিচিত হুই। চীনা জনসংখ্যার বিশাল সাগরে তারা স্রেফ কয়েক ফোঁটা পানি। ১ কোটি করে লোকসংখ্যা উভয় গোষ্ঠীর। আকারে তাইওয়ানের সমান। কিন্তু উইঘুররা যখন নির্যাতিত হচ্ছে, তখন হুইরা সমৃদ্ধ হচ্ছে।
ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাইÑ যাদের বলা হয় হুই মুসলমান, তাদের পূর্বপুরুষদের পারস্য, সিরিয়া, ইরাক, আনাতোলিয়া প্রভৃতি জায়গা থেকে ধরে আনা হয়েছিল চীনে, কাজ করার জন্য। চীনে এরা বিয়ে করে হান কন্যা। ফলে উদ্ভব হয় হুইদের। এরা দেখতে প্রায় হানদেরই মতো। কিন্তু হানদের সঙ্গে এক হয়ে যাননি। বজায় থেকেছে সামাজিক স্বাতন্ত্র্য। হুইরা খুবই নিষ্ঠাবান মুসলমান। তারা আরবিতে কোরআন পাঠ করেন। ছেলেমেয়েদের নাম রাখেন প্রধানত আরবিতে। হুইরা বাইরে হানদের মতো মান্দারিন ভাষায় কথা বললেও বাড়িতে যে ভাষায় কথা বলেন, তাতে থাকতে দেখা যায় অনেক আরবি শব্দ। হুইরা সারা চীনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তবে তারা বিশেষভাবে বাস করে উত্তর চীনের কান্সু প্রদেশে। কান্সুকেই তারা প্রধানত নিজেদের দেশ বলে মনে করেন।
অন্যদিকে উইঘুর হচ্ছে তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলমানদের একটি গ্রুপ। পূর্ব ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এদের বসবাস। উইঘুর মুসলমানদের মোট সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশেই বাস করে ৮৫ লাখের মতো। হুনানসহ অন্যান্য চীনা প্রদেশ ও রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন নগরীতেও অল্পসংখ্যক উইঘুর বাস করে। এছাড়া কাজাখস্তান, কিরগিজিস্তান, উজবেকিস্তান, তুরস্ক, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, পাকিস্তান ও মঙ্গোলিয়ায় উইঘুরদের বসবাস রয়েছে। এরা সুন্নি মুসলমান এবং অনেকেই সুফিবাদ চর্চা করেন।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলমানদের নিপীড়নের সংবাদ খুব আলোচনায় আসে। কিন্তু অন্যদিকে নাংশিয়া প্রদেশে বসবাসকারী কোটির বেশি হুই মুসলমানের নিরাপদ সুখী জীবনযাপনের খবর মিডিয়ায় তেমন আসে না। এই মুসলমানরা নাংশিয়া প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর তাংশিনে এবং এর কাছের শহরগুলোয় বসবাস করেন। এরা শুধু শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করছে তা-ই নয়, বরং তারা সামাজিক এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার দিক থেকেও সুখী।
ইকোনমিস্ট পত্রিকার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে নাংশিয়ার হুই মুসলমানদের মসজিদের সংখ্যা ১৯০০ থেকে বেড়ে প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছেছে। তাদের শিক্ষাগত অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। সেখানে নামাজ পড়া, রোজা রাখা এবং হজে যাওয়াতেও কোনো জটিলতা নেই। তারা স্বাধীনভাবে জনসভাও করতে পারে।
চীনের হুই মুসলমানরা রেশম পথ বরাবর বসবাসকারী ও চীনা স্ত্রী বিয়ে করা আরব ও পারস্যের বণিকদের বংশধর। তাদের সংখ্যা এখন ১ কোটি। জিনজিয়াংয়ের মুসলমানরা না পারলেও তারা শুরু থেকেই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। জিনজিয়াংয়ের মুসলমানরা একটি তুর্কি উপভাষায় কথা বলে এবং তাদের চেহারায় ইউরেশীয় ছাপ প্রধান। পক্ষান্তরে হুইরা চীনা ভাষায় কথা বলে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের দৈহিক সাদৃশ্য রয়েছে। হুই মুসলিমরা ইসলামের আধুনিক রূপের অনুসারী। তাদের ঐতিহ্য যদিও আন্তঃধর্ম বিবাহ অনুমোদন করে না; কিন্তু হুই পুরুষরা প্রায়ই ভিন্ন ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করে এবং বলে যে তারা ইসলামে দীক্ষিত হয়েছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্যের জন্য তারা ভালোভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। লিনজিয়ার মতো স্থানগুলোতে মুসলমানরা সহজেই পাসপোর্ট পেতে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অর্ধেকই হুই। এর বিপরীতে জিনজিয়াংয়ে প্রায় সব ঊর্ধ্বতন পদেই হান চীনারা। উইঘুর তরুণদের বিদেশ যেতে পাসপোর্ট মেলে না। সরকারি কর্মচারীরা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে বা রোজার সময় রোজা রাখলে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে নিংজিয়া ও গানসুতেও সরকারি সহিষ্ণুতার সীমা আছে। কিন্তু সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলমানদের ভাগ্য এতখানি প্রসন্ন দেখা যায় না। সেখানে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে উইঘুর মুসলিমরা সরকারি চাপ ও পীড়নের শিকার হয়ে চলেছেন। অঞ্চলের অন্য জনগণ ও উইঘুরদের মধ্যে বরাবর একধরনের সমন্বয়হীনতা কাজ করে এসেছেÑ মূলত উভয় পক্ষের মধ্যকার ভাষাগত ভিন্নতার কারণে। উইঘুর জনগণ কথা বলে থাকেন তুর্কি ভাষায়। তাদের লেখায় ব্যবহৃত হয় আরবি বর্ণ। অন্যদিকে হুইরা কথা বলেন মান্দারিন ভাষায়।
সাক্ষাৎকারে বহু হুই মুসলিম বলেন, স্বাস্থ্যবিধিসম্মত ধর্মীয় নিয়মরীতি ও ব্যক্তিগত মর্যাদা বোধ এবং ধূমপান, মদ ও জুয়া পরিহার তাদের চীনা ভাইদের থেকে পৃথক করেছে। উঝংয়ে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য মুসলিম দেশে পাগড়ি রপ্তানিকারী টুপি কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক ৩৫ বছর বয়স্ক মা ইউমিং বলেন, হুইরা আলাদা এলাকায় থাকে; কিন্তু আজকের দিনে অমুসলিমরাও মুসলিমদের এলাকায় আসছে আর তা আমাদের পরিষ্কার খাবার ও নৈতিকতা ব্যবস্থার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে। চীনা কম্যুনিস্ট পার্টি এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হুই মুসলিমদের বাণিজ্যিক দূত হিসেবে বিভিন্ন মুসলিম দেশে প্রেরণ করছে।

হবিগঞ্জ দেখলে বাংলাদেশ দেখা হয়ে যায়।

প্রশ্ন: কোন জেলাটিতে বাংলাদেশের প্রায় ৬৪টি
জেলার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান?
উত্তরঃ হবিগঞ্জ!
প্রাউড ফর হবিগঞ্জিয়ান!!
------------------------------
যাই হোক কিভাবে হবিগঞ্জ জেলাটিতে
বাংলাদেশের প্রায় ৬৪টি জেলার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তা জেনে নেওয়া যাক!
হবিগঞ্জ জেলাটি ৯টি উপজেলার সমণ্বয়ে গঠিত (আগের ৮টি আর সদ্য গঠিত ১টি-শায়েস্তাগন্জ)। এই জেলাতে একদিকে
রয়েছে পাহাড় অন্যদিকে রয়েছে নদী, হাওড়,বিলঝিল। একদিকে রয়েছে রেল লাইন, সড়ক পথঅন্যদিকে পানি পথে প্রায় ১২ মাসই চলে নৌকা,স্টীমার লঞ্চ।
পাহাড়ী এলাকায় রয়েেছ চা বাগান,
রাবার, আনারস, লেবু, অন্যদিকে সমতল ভুমিতে
ফলে ধান, চা, গম, আলু, পাট, চীনাবাদাম, তাম্বুল এবং
তৈল বীজ। পাহাড়ী এলাকায় আরও রয়েছে কাঁচবালি
আর হাওড় বিলে রয়েছে কৈ, পাবদা, টেংরা, শিং, মাগুর
সহ বিভিন্ন প্রকারের সুস্বাদু মাছ। মৎস খামার , গরুর
খামার তো রয়েছেই। জেলাটির এমন জায়গা
রয়েছে যেখানে কোন সময়ই বন্যার পানি
পৌছেনি আবার কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে
বছরের ১২ মাসই নৌকায় চলতে হয়!
কি এখনও ইতস্তবোধ করছেন! কিভাবে প্রায় ৬৪টি
জেলার বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলল? তাহলে শুনুন-এই
জেলাতে রয়েছে ২টি গ্যাস ফিল্ড, ৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। প্রাণআরএফএল ৬২টি ছোট বড়
কারখানা মিলে তৈরি করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। শুধু
প্রাণ গ্রুপের কারনেই কি হবিগন্জকে শিল্প নগরী
বলে ফেলতে হবে? তবে এবার শুনুন-স্কয়ার
টেক্সটাইল, স্কয়ার ডেনিমস, আরএকে পেইন্ট, স্টার
সিরামিক, চারু সিরামিক, বাদশা গ্রুপ, নাহিদ গ্রুপ,আহসান গ্রুপ,যমুনা গ্রুপ, সায়হাম গ্রুপ
সহ প্রায় ৪০-৫০টি লিডিং বিজনেস গ্রুপ হবিগঞ্জে শিল্প স্থাপন করেছে,এবং রয়েছে
আজমিরিগঞ্জের ফিস ইন্ডাস্ট্রিজ, এছাড়া
আরো অনেক ছোট ছোট কোম্পানী রয়েছে।

কুটির শিল্পঃ ওয়েভিং, বাঁশের কাজ,
স্বর্ণকার, কর্মকার, কুমার, সেলাই এবং ওয়েল্ডিং সব
কিছুতেই রয়েছে বৈচিত্র্যতা।
একদিকে যেমন রয়েছে শিল্পনগরের আধুনিক
চাল-চলন, কালচার, ডিজুস পোলাপাইনের আধুনিক গান,
অন্যদিকে হাওড়, বাওর গ্রামের সাধারণ মানুষে সহজ,
সরল চাল চলন ও ভাটিয়ালি গান।
সুতরাং একক জেলা হিসেবে হবিগঞ্জ সত্যিই একটি
বৈচিত্র্যময় জেলা যাকে দেখলে বাংলাদেশ দেখা
হয়ে যাবে, এ যেন বাংলাদেশের এক জীবন্ত
ছবি, ছোট্ট এক টুকরো সবুজ বাংলাদেশ!!
আমি হবিগঞ্জ জেলার হয়ে গর্ব করি.....

খরমপুরের কেল্লা বাবা হযরত গেছু দারাজ (র:) এর অজানা কাহিনী।

"কূপটিকে পাহারা দেবার জন্য আছে ৪০ জন উলঙ্গ নারী। এরকম স্থানে কোনো আউলিয়া যেতে পারেন না।"
মোটামুটি সমস্ত অঞ্চলেই খরমপুরের কেল্লা বাবার ভক্ত বিদ্যমান। অনেক আগে থেকেই দেশের নানা প্রান্তের লোকেরা তার সম্বন্ধে জানতো। একটা সময় পর্যন্ত জানাশোনার সংখ্যাটা এত বেশি ছিল না। কেল্লা বাবার মাজার ও কেল্লা বাবা সম্পর্কে প্রচলিত উপকথা জনপ্রিয় হয়ে উঠে একবিংশ শতকের শুরুর দিকে। ২০০২-০৩ সালের দিকে শরীফ উদ্দিন নামে একজন তরুণ ভাণ্ডারী শিল্পীর আগমন ঘটে। কণ্ঠের মিষ্টতা কম আর বেশি যা-ই থাকুক সে কণ্ঠে ব্যতিক্রমতা ছিল সন্দেহ নেই। তিনি সে সময় কেল্লা বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তার গুণগান করে একটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ব্যতিক্রমতার কারণে সে অ্যালবাম দ্রুত সময়ে জনপ্রিয় হয়ে যায়। এদিকে মানুষ জানতে শুরু করলো শিল্পী শরীফ উদ্দিন একজন গরীব ও নিম্নশ্রেণীর কর্মচারী। একটি ক্যাসেট ও সাউন্ড রেকর্ডিং-এর দোকানে কাজ করে। দোকানের মালিক তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ শুনে তার মাঝে সম্ভাবনা দেখতে পায় এবং কেল্লা বাবার গানে ঢুকিয়ে দেয়। এ ধরনের গল্পগুলোতে মানুষের খুব আগ্রহ থাকে।
শরীফ উদ্দিন বিখ্যাত হবার সাথে সাথে তার অ্যালবামের পরিমাণও বাড়তে থাকে। সব অ্যালবামই কেল্লা বাবার প্রতি স্তুতি গেয়ে প্রকাশিত। শরীফ এবং শরীফের অ্যালবামের সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছেলে-বুড়ো-নারী-পুরুষ সকলের কাছে বিখ্যাত হয়ে যায় কেল্লা বাবার কাহিনী। তবে তার আগেও ভক্তদের মাঝে কেল্লা বাবা এবং তার মাজার সম্পর্কে বিভিন্ন কাহিনী প্রচলিত ছিল।
কেল্লা বাবার মূল নাম হযরত গেছু দারাজ (র:)। তার জন্মভূমি ইয়েমেনে। হযরত শাহজালাল (র:) যখন ধর্ম প্রচারের জন্য ইয়েমেন থেকে ভারতবর্ষে গমন করেন তখন তার সাথে হযরত গেছু দারাজ (র:) তথা কেল্লা বাবাও ছিলেন। হযরত শাহজালাল (র:)-এর সাথে তিনিও সিলেট এসেছিলেন এবং ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছিলেন।
মানুষের মুখে মুখে তার অলৌকিকতা সম্পর্কে নানা ধরনের কাহিনী শোনা যায়। এ মুখ থেকে ঐ ঘুরে ঘুরে সেসব কাহিনী একপ্রকার উপকথায় পরিণত হয়ে গেছে। সেসবের মাঝে সবচেয়ে আগ্রহের কাহিনী হলো কীভাবে তার দেহ থেকে মাথা আলাদা হলো আর কেন সকলে তাকে মূল নামে না ডেকে কেল্লা বাবা বলে ডাকে। দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হবার কাহিনীটির মাঝে রংচং তো লেগেছেই, উপরন্তু কিছু ক্ষেত্রে পুরো কাহিনীটিই বদলে গেছে। ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় মস্তক বিচ্ছিন্ন হবার ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ পাওয়া যায়।
কথিত আছে, তৎকালে সিলেটের রাজা ছিলেন গৌর গোবিন্দ এবং তিনি ছিলেন অত্যাচারী। তার অত্যাচারের হাত থেকে নিরীহ জনগণকে বাঁচাতে যুদ্ধে লিপ্ত হন হযরত শাহজালাল (র:)। ঐ যুদ্ধে হযরত গেছু দারাজ (র:)-ও অংশগ্রহণ করেন। রাজা গৌর গোবিন্দের ছিল সাত তলা বিশিষ্ট দুর্ভেদ্য এক প্রাসাদ। গৌর গোবিন্দ সহ রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অবস্থান করছিল প্রাসাদের ভেতরে। ভেতরে যাবার ফটক আবার অবরুদ্ধ। এমতাবস্থায় প্রাসাদকে জয় করার জন্য তীর-ধনুক দিয়ে কিছুক্ষণ চেষ্টা করা হলো। কিন্তু দূর থেকে কোনোভাবেই প্রাসাদ ভেদ করা যাচ্ছিল না।
এমন পরিস্থিতিতে ভিন্ন পথে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন হযরত শাহজালাল (র:)। তখন আসরের সময় হয়ে এসেছে। তিনি বললেন, “আমাদের মাঝে এমন কেউ কি আছে যে সারা জীবনে একবারও আসরের নামাজ জামাত ছাড়া আদায় করেনি?” এমন কঠিন শর্তে বলতে গেলে কেউই উত্তীর্ণ হবে না। কিন্তু খুঁজে একজনকে পাওয়া গেল যে তার জীবনের সকল আসর নামাজ জামাতের সাথে আদায় করেছে। তিনি হলেন হযরত গেছু দারাজ (র:)। তাকে বলা হলো সাত তলা প্রাসাদের কাছে গিয়ে আযান দিতে। তিনিও আযান দিতে গেলেন। যখন তিনি আযানের প্রথম অংশ ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন তখন সপ্ততলা প্রাসাদের একটি তলা মাটির তলায় গুড়িয়ে গেল। এরপর যখন ‘আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বললেন তখন আরেকটি তলা গুড়িয়ে গেল। এভাবে আযানের সাতটি অংশ বলার সাথে সাথে দুর্ভেদ্য প্রাসাদের সাতটি তলা মাটির নীচে ধ্বসে যায়।
প্রাসাদ ধ্বংস হবার সাথে সাথে হুড়োহুড়ি দিয়ে বের হতে থাকে শত্রুপক্ষের সৈন্য। এক সৈন্য এসে পেছন দিক থেকে তলোয়ার দিয়ে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে হযরত গেছু দারাজ (র:)-এর। পাশেই ছিল নদী। কর্তিত এই মাথা গিয়ে পড়ে নদীতে। অন্যদিকে মাথাবিহীন অবস্থাতেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে দেহটি! জয় হবার আগ পর্যন্ত চলে এই যুদ্ধ।
এরপর সময় অতিবাহিত হয় এবং পানির স্রোতে এটি ধীরে ধীরে সিলেট থেকে সরে যেতে থাকে। একসময় এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে চলে আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অবস্থিত তিতাস নদী। একদিন কয়েকজন হিন্দু ব্যক্তি তিতাসে মাছ ধরছিলেন। জাল ফেলতে ফেলতে একপর্যায়ে কিছু একটার মাঝে জাল আটকে যায়। কষ্ট করে ডাঙায় তোলার পর দেখা যায় সেখানে একটি কর্তিত মাথা। তারা এটিকে ধরতে যাবে এমন সময় মাথাটি অলৌকিকভাবে কথা বলে ওঠে! মাথা অর্থাৎ কেল্লাটি জানায়, হিন্দু হয়ে এটিকে যেন তারা স্পর্শ না করে। স্পর্শ করার আগে তারা যেন অবশ্যই মুসলমান হয়ে নেয়। এমন অলৌকিকতায় তারা মুগ্ধ হয়ে যায় এবং সেখানেই মুসলমান হয়ে যায়। মুসলমান হতে হলে কলমা পড়তে হয়। তাদেরকে এই কলমাটিও পড়িয়ে দেয় ঐ কাটা কেল্লা।
এরপর কেল্লাটিকে তুলে এনে যত্নের সাথে কবর দেয়া হয় এবং কবরকে কেন্দ্র করে মাজার গড়ে তোলা হয়। কেল্লাটি পেয়েছিলেন চৈতন দাস ও তার কিছু সঙ্গী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর চৈতন দাসের নাম পালটে রাখা হয় শাহ্ সেওন। তিনিই ছিলেন কেল্লা বাবার মাজারের প্রথম খাদেম। বর্তমানে তার বংশধরেরাই মাজার শরীফের খাদেমের কাজে নিয়োজিত আছেন।
কাহিনির অন্য একটি ভার্সন হলো: এক হিন্দু জেলের জালে আটকা পড়ে এই কেল্লা এবং কথা বলতে থাকে অলৌকিকভাবে। তবে এই ভার্সনে একটু বাড়িয়ে বলা হয়, জালে যখন কেল্লা পড়ে তখন সেখানে ভূমিকম্প শুরু হয়। কেল্লাটিকে উপরে আনা হলে দেখা যায় সেটি আল্লাহর নামে জিকির করছে। একসময় সকলকে চলে যেতে বলে কেল্লাটি। সকলে চলে গেলে গায়েবীভাবে তিতাস নদীর পাড়ে একটি মাজার তৈরি হয়ে যায়। এটিই বর্তমানে কেল্লা শাহ্-এর মাজার নামে পরিচিত।
কাহিনীর আরেকটি ভার্সনে দেখা যায় সিলেটের যুদ্ধের সময় মৃত্যু হয়নি হযরত গেছু দারাজ (র:)-এর। সিলেট যুদ্ধে বিজয় লাভের পর তিনি হবিগঞ্জ (তৎকালীন শ্রীহট্ট) অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে লাগলেন। সেখানে ছিল আচক নারায়ণ নামে আরেকজন অত্যাচারী রাজা। এই রাজাকে অপসারণ ও শায়েস্তা করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় হযরত গেছু দারাজ (র:)-কে। তিনি প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রাজার বিরুদ্ধে। রাজাকে চিঠি পাঠান যেন তার প্রজাদের প্রতি কোনো অত্যাচার করা না হয় এবং তাদের ধর্মেকর্মে যেন কোনোপ্রকার বাধা দেয়া না হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে যুদ্ধ বেধে যায়। মুসলিমদের পক্ষে বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে কয়েকটি দল মিলে যুদ্ধ করার কথা। হযরত গেছু দারাজ (র:) এর যাত্রাপথ ছিল সহজ ও সমতল, অন্যদিকে বাকিদের যাত্রাপথ ছিল বন্ধুর ও পাহাড়-টিলায় পূর্ণ। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে অন্যদের এসে পৌঁছাতে দেরি হয়। আগে আগে চলে আসাতে বিপক্ষ দলের সাথে আগে আগে তুমুল যুদ্ধ বেধে যায় হযরত গেছু দারাজ (র:)-এর। সংখ্যায় শক্তিশালী না হওয়াতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে গেছু দারাজ (র:)-এর দল, মারা যেতে থাকে মুসলিম সৈন্য। তবে দেরীতে হলেও বাকি দলগুলো আসে এবং একত্রে যুদ্ধ মোকাবেলা করে। এতে রাজা আচক নারায়ণ পরাজিত ও নিহত হয়।
যুদ্ধ জয়ের পর হযরত গেছু দারাজ (র:)-এর কোনো দেখা নেই। খুঁজে দেখা গেল তিনি মারা গেছেন কোনো এক অজানা ঘাতকের হাতে। মারার পর দেহ থেকে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এই মাথাটিকে তারা ফেলে দেয় সেখানকার খোয়াই নদীতে। এরপর পানির প্রবাহে সেটি বরাক নদী হয়ে তিতাস নদীতে চলে আসে এবং খরমপুরে এসে দেখা দেয়।
কেল্লা বিচ্ছিন্ন হবার ঘটনাটি কোনো ক্ষেত্রে আবার একটু ভিন্নরকম। কাহিনীর এই ভার্সনেও যুদ্ধ হয় গৌর গোবিন্দের সাথে। এখানে বলা হয়, গৌর গোবিন্দের একটি রহস্যময় কূপ ছিল। এর নাম ছিল জীয়ন কূপ। এই কূপে কোনো মৃত লাশকে ফেলে দিলে তা জীবিত হয়ে যেতো। হযরত শাহজালাল (র:)-এর সাথে যখন যুদ্ধ বাধে তখন মুসলিম বাহিনীর হাতে প্রচুর সৈন্য মারা যেতে থাকে। কিন্তু সেসব মৃত সৈন্য নিয়ে ফেলে দেয়া হতো সেই কূপের মাঝে। ফলে তারা আবারো জীবিত হয়ে যুদ্ধ শুরু করতো। এমন পরিস্থিতিতে মুসলমানদের পক্ষে তাদেরকে হারানো অসাধ্য হয়ে যাচ্ছিল।
একপর্যায়ে হযরত শাহজালাল (র:) উপলব্ধি করতে পারলেন যতক্ষণ না ঐ কূপটি ধ্বংস করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধে জয়লাভ সম্ভব নয়। যুদ্ধে তার সাথে ছিল তিন শত ষাট জন আউলিয়া। সবাইকে ডেকে বলা হলো কে পারবে সাহসের সাথে এই কূপটিকে ধ্বংস করে দিতে? ৩৬০ জনের কেউ রাজি হলো না। কারণ ইসলামি নিয়ম অনুসারে এটি সামনাসামনি যুদ্ধের চেয়েও কঠিন। এই কূপটিকে পাহারা দেবার জন্য আছে ৪০ জন উলঙ্গ নারী। এরকম স্থানে কোনো আউলিয়া যেতে পারেন না।
অবস্থা দেখে হযরত শাহজালাল (র:) খুব চিন্তিত হয়ে গেলেন। হযরত গেছু দারাজ (র:) ছিলেন হযরত শাহজালাল (র:)-এর ভাগ্নে। তিনি তার চিন্তিত মুখ দেখে আর সইতে পারলেন না। রাজি হলেন এই কঠিন কাজ তিনি করবেন। তার কাছে ছিল একটি ধারালো তরবারি। যখন তিনি কূপের নিকট গেলেন তখন ইসলামের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সেই তরবারি দিয়ে এক কোপে নিজের মস্তক নিজেই কেটে ফেলে দেন। মস্তকবিহীন রক্তাক্ত দেহ নিয়ে তিনি যখন সেই কূপের কাছে গেলেন তখন এই অবস্থা দেখে উলঙ্গ নারীদের সকলে উদ্ভ্রান্তের মতো ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তিনি ঐ কূপে এক টুকরো গরুর মাংস ফেলেন। এটি ফেলাতে কূপের যাদুটি নষ্ট হয়ে যায়। মৃতকে পুনরায় জীবিত করার ক্ষমতা আর থাকে না এতে। গরুর মাংস ফেললে কেন জীবিত করার ক্ষমতা নষ্ট হবে সে সম্বন্ধে কোনোকিছু জানা যায়নি।
মস্তক ছাড়া দেহটি এরপর হযরত শাহজালাল (র:)-এর পায়ের সামনে গিয়ে প্রাণ ত্যাগ করে। এমন ত্যাগ দেখে সেদিন তিনি বলেছিলেন “কেউ যদি আমার দরগাহ জিয়ারত করতে আসে, তাহলে সে যেন সবার আগে কেল্লা শাহ-এর মাজার জিয়ারত করে নেয়। তা না হলে ঐ ব্যক্তির জিয়ারতের অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে।
(From Net)