একসময় মানুষ স্বর্ণ বা রূপ্য মুদ্রা ব্যবহার করত যা স্পর্শ করা যেত, গুণা যেত, পকেটে বা লকারে সংরক্ষণ করা যেত। মুদ্রা আত্মসাৎ করতে হলে তালা ভাঙতে হত।
অতঃপর এলো-
কাগুজে মুদ্রা যা মানুষ টাচ করতে পারে, গুণতে পারে, পকেটেও রাখে কিন্তু সূক্ষ্ম পথ দিয়ে টাকা লুট হয়ে যায়। আত্মসাৎ করতে তালা ভাঙতে হয় না। মুদ্রার মাণ কমিয়ে দিলেই হয়।
এর পরে এসেছে-
ডিজিটাল কারেন্সি। যা মানুষ না ধরতে পারে, না পকেটে বা লকারে রাখতে পারে। ব্রেইন ওয়াসড মানুষ শুধু ডিজিট টাইপ করতে পারে। ১০, ১০০, ১০০০, ১ লক্ষ, ১ কোটি শুধু নাম্বার। নাম্বার ডেবিট হচ্ছে নাম্বার ক্রেডিট হচ্ছে। ছিনতাই করা সবার জন্য সহজ। কাগুজে মুদ্রায় শুধু প্রশাসন ও বিগ ফার্মা মুদ্রা আত্মসাৎ করতে পারত। ডিজিটাল কারেন্সিতে সাধারণ হ্যাকারও চুরি করতে পারে। আপনার জীবনের সকল সম্পদ সংরক্ষিত থাকছে কয়েকটি ডিজিট পাসওয়ার্ডের ভিতরে। আর একটি প্লাস্টিকের কার্ডের ভিতরে। নিজ মুদ্রার সংরক্ষণ করা হচ্ছে বিশ্বখ্যাত চোর লুটেরাদের কাছে। ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিদের চাইতে বেশি যুলুম কোনো সংস্থা কখনোই করে নাই। আপনি তাদের কাছে নিজের মুদ্রা গচ্ছিত রাখছেন, এটা কত বড় বোকামি ভেবে দেখেছেন কী? শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দিচ্ছেন। আমেরিকায় ক্যাশ ট্রান্সেকশনের হার দিনকে দিন কমছে, সবাই ডিজিটাল ট্রান্সেকশন করে এখন। বিডিতেও শুরু হয়েছে। মানুষ ফিজিকাল মানি থেকে সরে ডিজিটাল মানির দিকে ঝুঁকছে। দুয়েকশ টাকার জন্য পরনির্ভর হয়ে যাচ্ছে।
Kaisar Ahmad
সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৯
ডিজিটাল কারেন্সি
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন