জনপ্রিয় তুর্কী প্রেসিডেন্ট আদনান মেন্ডেরেসকে ফাঁসি দেওয়ার আগের মুহূর্ত। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি তুরস্কের ক্ষমতায় ছিলেন। তার ক্ষমতায় থাকার পূর্বের সরকার সেকুলারের নামে প্রকাশ্য আযান দেওয়া,মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া,পর্দা তুলে দেওয়া সহ নানান অনৈসলামিক আইন করেছিল।
আদনান মেন্ডেরেস ক্ষমতায় এসে প্রকাশ্য আযান দেওয়ার প্রথা আবার তুরস্কে চালু করেন, প্রকাশ্য নামায ও জুম্মার নামায আদায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া মাদ্রাসা পুনরায় রাষ্ট্রীয় খরচে চালু করেন। হজ্জের জন্য করা বাড়তি ট্যাক্স তুলে নিয়ে সেখানে ভর্তুকি দেন। ফলে হাজার হাজার আলেম তৈরি হয় তুরস্কে যা এখনো বিদ্যমান তার চালু করা আযান আজকেও বন্ধ হয়নি।
কিন্ত এক সেনা বিদ্রোহে তিনি ১৯৬১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন ফলে তৎকালীন সেকুলার নামধারী সরকার আগের আইন ভঙ্গ করে আযান,পর্দা ও মাদ্রাসা চালু করার অপরাধে সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে বলে তাকে ফাঁসির বায় দেয় ও কার্যকর করে ১৯৬১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সালে।
তার এই ভুমিকার কারণে আদনান মেন্ডেরেসকে বিশ্বব্যাপী আলেমরা তাকে শহীদ হিসাবে আখ্যায়িত করে।
বলে রাখা ভাল আদনান মেন্ডেরেস নিজে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী হাতে নিয়ে ছিল পরীক্ষা চালিয়েছিল হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্রের, পারমাণবিক চুল্লির এমন পর্যায়ে ছিল যা কিছুদিনের মাঝেই পরীক্ষা করা হতো। কিন্ত সেকুলার সরকার ক্ষমতায় এসে শান্তির কথা বলে তুরস্কের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ধ্বংস করে দেয়। আদনান মেন্ডেরেসডের মতন নেতা ক্ষমতায় থাকলে তুরস্ক আজ বিশ্ব পরাশক্তি থাকতো।
(WMNB)
সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৯
জনপ্রিয় তুর্কী প্রেসিডেন্ট আদনান মেন্ডেরেসকে ফাঁসি দেওয়ার আগের মুহূর্ত।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন